৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, দুপুর ২:০৫

রিক্সায় বসেই গাঁজা সেবন!

প্রাইমনারায়ণগঞ্জ.কম

শহরের জিমখানা থেকে ২নং রেলগেটে পায়ে হেঁটে কাজ শেষে বাড়ি যাচ্ছিলেন সোনিয়া ও তার স্বামী । হঠাৎ নাকে কাপড় দিলেন সোনিয়া , স্বামী জিজ্ঞেস না করতেই বুঝে উঠলেন রিক্সায় বসে থাকা ৩০ বছর বয়সী রিক্সাচালক গাঁজা সেবন করছেন। এগিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করতেই বিপত্তিতে পড়লেন সোনিয়ার স্বামী। রিক্সায় থাকা ওই গাঁজাসেবক লোকটি বলছে “ সিগারেট খাইতাছি, গাঞ্জা খাইছি আফনেরে কেডায় কইছে, আর খাইলেও আফনার কি?…. ” এমন বলতে বলতে গালিও দিচ্ছিলেন রিক্সাচালক। এমন ঘটনা হরহামেশা ঘটছে শহরের সড়কের পাশে থাকা রিক্সা গ্যারেজগুলোতে।

বঙ্গবন্ধু সড়কের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গড়ে উঠা রিক্সা গ্যারেজ ও রাস্তার পাশে দাড়ানো রিক্সাগুলোতে দেখা মিলে এমন দৃশ্য। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে শুনতে হয় গালমন্দ বা ধমক। নেশাগ্রস্থ হয়ে রাস্তায় যাত্রী নিয়ে চড়ে বেড়ান মাদকসেবী রিক্সাচালকরা।

নগরবাসী বলছেন, শিশু ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাস্তায় বেড় হলেই এমন দৃশ্য আমাদের দেখতে হয়। তাদের এমন কর্মকান্ডে আমরা চলাফেরা করতে ব্যহত হয়। করোনাকালে যেদিকে সকলের সচেতন থাকা প্রয়োজন সেদিকে তাদের রাস্তায় বসে প্রকাশ্যে গাঁজাসেবনে তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে ক্ষতিকারক ধোঁয়া ও করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে।

নয়ামাটি এলাকার আরিফ হোসেন বলেন, শুধু রিক্সাচালকই নন, আমাদের এলাকার অনেকেই প্রকাশ্যে মাদকসেবন করছে। এর ফলে রাস্তায় চলাফেরা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়েছে।

নগরীর ডিআইটি এলাকার ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত খুব ভাল ভাবেই ব্যবসা করা যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পর আমার দোকানের সামনে ভ্রাম্যমাণ রিক্সা গ্যারেজের রিক্সাচালকরা প্রতিদিন রাত ১১টা পর্যন্ত গাঁজাসেবন করে।  এতে করে আমাদের বসে থাকতেও কষ্ট হয়। তিনি আরও বলেন, তারা গাঁজাসেবন করা অবস্থায় রাস্তায় মহিলা হেঁটে গেলে তাদের ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা অবৈধ রিক্সা গ্যারেজ ও রাস্তায় রিক্সা থামিয়ে চালকরা বিশ্রাম নেয়। অনেক রিক্সাচালক সেখানে বসেই প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন করতে দেখা যায়। তাদের কিছু বলতে গেলে উল্টো-পাল্টা কথা শুনতে হয় সাধারণ মানুষের।

অভিযোগ রয়েছে শহরের এ সকল অবৈধ রিক্সা গ্যারেজগুলো থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের একাধিক পরিচ্ছন্নকর্মী ও পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে চাঁদা আদায় করে।

বাছাইকৃত সংবাদ

No posts found.